এড. সাইফুদ্দীন খালেদ
করোনার এই মহামরিতে সারাদেশে মন্ত্রী-এমপি-মেয়র-চেয়ারম্যান আর নেতারা কেই জনগনের পাশে নেই ? সবার মধ্য করোনা আতংক। করোনার এই মহামরিতে কোন দায়িত্বশীল মন্ত্রী, এমপি, মেয়র, চেয়ারম্যান, নেতারা কাউকে জনগনকে বেচেঁ থাকার আশা ভরসা দিতে রাস্তায় নামতে দেখিনি। অল্প দেখা গেলেও এসব বলার মত নয়! তবে তাদের অসুস্থ কথাবার্তা থেমে নেই।
যারা দিন আনে দিন খায়, গরীব, অসহায়, যাদের ভোটে মন্ত্রী, এমপি, চেয়ারম্যান, জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছে, এই সংকটে তাদের জন্য কি করেছে এমন প্রশ্ন সচেতন নাগরিক সমাজের ।
জনপ্রতিনিধিরা করোনা ভাইরাসের কবল থেকে বাঁচতে হোম কোয়ারেন্টিনে বা আত্মগোপনে গেলেও জীবনের সমস্ত মায়া ত্যাগস্বীকার করে আমলা – পুলিশ- আর্মিরা জনগনের পাশে দাড়িয়েছে। এই জন্য ওনাদের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
আমি অনেকটা নিশ্চিত ছিলাম, জনপ্রতিনিধিরা করোনার এই সংকটে জনগনের পাশে দাঁড়াবেন কিন্তু ঠিক সেভাবে কাউকে পাশে দাঁড়াতে দেখলাম না।
মন্ত্রী-এমপি,মেয়র, চেয়ারম্যান আর নেতাদের নীরবতায়, স্বার্থপরতায় সচেতন নাগরিক হিসাবে আমাকেও প্রচন্ড আহত করেছে।
জনমনে প্রশ্ন হচ্ছে – তারা কেন নীরব থাকবেন? তারা কেন জনগনের পাশে দাঁড়াবেন না ? নাগরিকের, সুখ, দু:খে পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েইতো তারা রাজনীতিতে এসেছেন। জনপ্রতিনিধি হয়েছেন অথচ আজ বিপদে তারা ধারে কাছেও নেই নাগরিক সমাজের। যারা নিজের জীবন নিয়ে চিন্তিত,ভীত তারা অন্যের জীবন কি করে বাচাঁবেন, কেন মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিবেন এমন প্রশ্ন জনমনে!
আমলা-পুলিশ- আর্মিরা তো জনগনের নিরাপত্তা আর আইনশৃঙ্খলা নিয়েই থাকার কথা কিন্তু রাজনৈতিক ও যোগ্য নেতৃত্ব সংকটে এখন জনগনের মুখে অন্ন পৌছে দেয়ার দায়িত্বও তাদের উপর ন্যস্ত হয়ে পড়েছে। কোন আস্তা নেই জনপ্রতিনিধিদের প্রতি। এই জন্য দায়ি কারা?
আমলা-পুলিশ-আর্মি তাদের কি জীবনের মায়া নেই? থাকলেও তো দায়িত্ববোধ তাদেরকে ঘরে থাকতে দেয়নি। এতে নাগরিক সমাজের মধ্য কিছু স্বস্তি থাকলেও আগামি রাজনীতি কোন পথে যাচ্ছে, বহুমুখী যোগ্যতাসম্পন্ন নেতৃত্ব রাজনীতিতে আসবে কিনা সংশয় দেখা দিয়েছে। রাজনীতির মাঠতো এখন বেশিভাগ কালোবাজারি, দুর্নীতিবাজ, অসৎ মানুষের দখলে।
এই সংকট থেকে উত্তোরণে নাগরিক সমাজকে আরো বেশি সচেতন হতে হবে যোগ্য নেতা নির্বাচনে। যে নেতা জনগনের কথা বলবে, কঠিন মহুর্তে ও জনগনের পাশে থাকবে, জনকল্যাণ নিয়েই ব্যস্ত থাকবে। অন্যথায় আজীবন গোলাম হয়ে থাকার প্রস্তুতি নিলে ভাল হবে।
— সাইফুদ্দিন খালেদ,এডভোকেট
জেলাও দায়রাজজ আদালত,কক্সবাজার।
বিভাগীয় সম্পাদক, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিঠি- এনডিএম। ও জেলা সেক্রেটারি- কক্সবাজার।
সংবাদ ও মানবাধিকার কর্মী।