শহীদুল্লাহ
জাগো বাংলার বিবেক জাগো। আমাদের জীবনের তাগিদে আজ জাগতেই হবে।
কাজী নজরুলের অগ্নিবীণা কিংবা বিদ্রোহী কবিতার মতো। আমাদের জাগতেই হবে জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই। ওরা আমাদের পিপীলিকা ভেবে হস্তির পদতলে পিষ্ট করছে প্রতিনিয়ত। রাজার গোলাম থেকে শুরু করে রাজ্যের মাফিয়ারা, আমাদের উপর হামলা করছে অতি তুচ্ছ ভেবে, বার বার আঘাত করছে আমাদের জীবনের উপর। তাতে কেউ হারাচ্ছি প্রাণ কেউবা বরণ করছি চির পঙ্গুত্ব।
আমাদের অপরাধটাই বা কি?
কোন অদৃশ্য কারণে আমরা হামলার শিকার হচ্ছি বার বার? আমরা জাতির বিবেক হিসাবে যারা দাবী করি, আমাদের অনৈক্যের কারণেই ওরা আমাদের উপর হামলা করার সাহস পায়।
তাই আজ সকল অনৈক্যের জড়তা কেটে
একতার দৃঢ়বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে আমাদের জাগতেই হবে।
আমরা কলম সৈনিকেরা সত্য লিখছি বলেই কি আমাদের অপরাধ? আমাদের রাষ্ট্র আর সমাজের প্রতিটি রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি নামের ক্যানসার বাসা বেঁধেছে।
সেই ক্যানসারের প্রতিষেধক হিসেবে
কলম সৈনিক হয়ে দুকলম লেখাটাই কি অপরাধ?
আমরা দুর্নীতিবাজ, সন্ত্রাসী, মাদক কারবারি, চাঁদাবাজ, ধান্ধাবাজদের হাতে নিগৃহীত কিংবা নির্মম নির্যাতনের শিকার হতেই থাকবো?
আমরা কি ক্ষমতা লোভীদের ক্ষমতা দখলের যুদ্ধে, উভয় পক্ষের বন্দুকের নিশানা হয়ে,
কোম্পানী গঞ্জের মুজাক্কিরের মতো গুলিবিদ্ধ হয়ে মরতে হবে ?
শহীদ সাগর-রুনি আর বোরহান উদ্দিন মুজাক্কিরের,রক্তের প্রতিশোধ নিতে আমাদের জাগতেই হবে। হে বাংলার বিবেক,
আমাদের সামনেই মহেশখালীর ছালামত উল্লাহ রাজাকারের বাচ্চার হাতে রক্তাক্ত হয়েছে।
কক্সবাজারের ফরিদুল মোস্তফার উপর পুলিশের পৈশাচিক নির্যাতন। গাজীপুরে সন্ত্রাসীদের হামলায় ছিদ্দিক চিরপঙ্গুত্বের পথে।
আখাউড়ার, আবির,রুবেল, ইসমাইল হল হামলার শিকার। গতকাল হামলার শিকার হয়েছেন পটুয়াখালী বিএমএসএফ সভাপতি হারুন অর রশীদ। আমার কথা না হয় বাদই দিলা। তবে মামলা-হামলার শিকার হয়েছি অগনিতবার। তবুও শক্ত পায়ে হেটে কলম আকড়ে আজো বেঁচে আছি।
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে সাংবাদিক কামালকে চোরের মতো গাছের সাথে বেঁধে নির্মম প্রহার করা হল।
ভালুকার বিল্লাল হোসেন, নারী সাংবাদিক লিমার উপর হল বর্বর হামলা।
উখিয়ার হাকিমের উপর পর পর দুই বার ইয়াবা ডনের পৈশাচিক নির্যাতন চালানো হল।
উখিয়ার শরীফ আজাদের উপর হামলা করে রক্তাক্ত করা হয়েছে।
দেশব্যাপী মিথ্যা মামলার আসামী করা হয়েছে অসংখ্য সাংবাদিকদের।এত কিছুর পরও কি নিরবতা পালন করেই যাবেন হে জাতির বিবেক?
আজ আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে, পেছনে যাবার আর কোন রাস্তা নেই।
উল্কা গতিতে এগিয়ে যেতে হবে সম্মুখ পানে।
হে সারা দেশের জাতির বিবেক,
আজ মান অভিমান দুরে ফেলে
জেগে উঠ দলে দলে।
তাইতো বিএমএসএফ দিচ্ছে ডাক
খুনীরা সব নিপাত যাক।
খুন হয়েছে আমার ভাই
খুনী তোদের রক্ষা নাই।
মুজাক্কিরের রক্ত বৃথা যেতে পারেনা।
মুজাক্কিরের খুনীদের গ্রেফতার কর করতে হবে।
জাতির বিবেক জেগে উঠ, ১৪ দফা দাবী তুল।
বিএমএসএফ এর ১৪ দফা মানতে হবে, মেনে নাও।
সব ভেদাবেদ গিয়ে ভুলে, এসো বিএমএসএফের পতাকা তলে।
লেখক: সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার থেকে বিএমএসএফ জেলা কমিটির আহবায়ক মো: শহিদুল্লাহ।