শেখ মোঃ সাইফুল ইসলাম
গাইবান্ধা জেলায় প্রায় ২০০ শতের অধিক অবৈধ ভাবে ইট ভাটা, তৃফলা কৃষি জমির উপর স্থাপন করে এ জেলার পরিবেশের বারোটা বাজিয়েছেন অসাধু ইট ব্যবসায়ী।
২০২১ সালে প্রশাসন উদ্যোগ নিয়ে, গাইবান্ধা জেলার সকল অবৈধ ইট ভাটা গুলোতে অভিযান শুরু করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর।
গোবিন্দগঞ্জ, পলাশবাড়ী, সাদুল্যাপুর উপজেলায় প্রশাসন যে ভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করে, অবৈধ ইট ভাটা স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেছেন, ঠিক সেই ভাবে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার অবৈধ ইট ভাটা গুলোতে অভিযান চায় সচেতন নাগরিক।
গতকাল বিকালে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার চৌরাস্তা মোড় হতে মজুমদার হাট রোডের বামনি খাল ব্রিজের পাশ্বে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংলগ্ন গড়ে ওঠা এস,আর,বি ইট ভাটা, জনসাধারণের চলাচলের রাস্তায় মাটি ভরাট করে অবৈধ ভাবে দখল করে রেখেছেন।
বামনি খাল ব্রিজের সামনে সরকারি রাস্তাটির পাশ্বে মাটি ভরাট রাখায় রাস্তাটি চিকনে পরিনত হয়।
রাস্তায় দাড়িয়ে কয়েক জন ভ্যান চালকের সঙ্গে কথা হলে, তাঁরাও অভিযোগ করে বলেন, ইট ভাটার মাটি দিয়ে রাস্তার কিলোমিটার বোর্ড টি মাটির নিচে ঢেকে রাখার পাশাপাশি, রাস্তার কার্পেটের সঙ্গে বড় মাটির ঢিপ দিয়ে রাখায় রাস্তাটি চিকনে পরিনত হয়।
এর ফলে মুখোমুখি দুইটি অটোভ্যান ক্রসের সময় একটি গাড়িকে দাড়িয়ে থাকতে হয়।
রাস্তার কার্পেটের পাশ্বে মাটিতে এমনিতে একটি গাড়ি চলাচল করতে পাড়ে, রাস্তার পাশ্বে মাটি ভরাট রাখার কারণে ড্রাইভারকে গাড়ি শুধু কার্পেটের উপর রাখতে হয়।
কোন ড্রাইভার একটু ঝুঁকি নিলেই, যে কোন মর্হুতে বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটতে পাড়ে।
এমনকি ঐ স্থানে ব্রিজের সামনে, বর্ষা কালে গাড়ি চলাচল আরো ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়ে বলে জানান তাঁরা।
স্থানীয় এলাকার যুব সমাজ ও সচেতন মহলের দাবি, তাঁরা ইট ভাটা নির্মাণ করে পরিবেশ দুষনের পাশাপাশি, জনগণের বিগ্ন ঘটিয়ে রাস্তার পাশ্বে কালো কয়লা মেশিন দ্বারা গুড়ি করে আসছেন।
রাস্তায় চলাচলের সময়, জনসাধারণের নিঃশ্বাসে কালো কয়লার গুড়ি বাতাসে উড়ে প্রবেশ করার ফলে, ক্যান্সারসহ যে কোন বড় ধরণের রোগে আক্রান্ত করতে পাড়ে, এমন মতামত গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন তাঁরা।
বৈধ ও অবৈধতার বিষয়ে এস,আর,বি ইট ভাটার মালিক চুন্নু মাস্টারের পুত্র জানান, তাঁদের নাকি পরিবেশ অধিদপ্তরের লাইসেন্স আছে, তাঁরা নিয়ম মেনে ইট ভাটা পরিচানা করে আসছেন, বলে জানান।
এর আগে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের নিকট এস,আর,বি ইট ভাটার, বিষয়টি জানানো হলে, উপজেলা প্রশাসন কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেন নি।
কৃষকের ক্ষতিকর বিষয়ে ইট ভাটা নিয়ে, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রেজা-ই মাহমুদ এর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ইট ভাটা এলাকার কৃষি জমির ফসল বিষাক্ত তিতা হয়ে যায়, ঐ ফসল মানবদেহের ক্ষতি করে, ঐ ফসলে খাদ্যের স্বাদ থাকবেনা ইত্যাদি, তিনি আরো বলেন এ উপজেলার সকল ইট ভাটা অবৈধ এবং ক্ষতির।
সাদুল্যাপুর উপজেলায় অবৈধ ইট ভাটা উচ্ছেদ অভিযানে পরিবেশ অধিদপ্তর রংপুরের উপ-পরিচালক মো: ইউসুফ বলেছিলেন এ উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত ভাবে চলতে থাকে।
তারি ধারাবাহিকতায় সুন্দরগঞ্জ উপজেলা পরিবেশ বান্ধব উপজেলা হিসেবে, গড়ে তুলতে অবৈধ ইট ভাটা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা অতিব জরুরি বলে মনে করছেন সচেতন মহল।