ঘূর্ণিঝড় “মোখা” বাংলাদেশের কক্সবাজার ও মিয়ানমার উপকূলে আঘাত হানার সম্ভবনা ও ইতোমধ্যে বিভিন্ন স্থানে আঘাত হেনেছে বলে খবর পাওয়া যায়।
রোববার এই ঘূর্ণিঝড় উপকূলে আঘাত হানতে পারে বলে ধারণা দিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। ইতোমধ্যে কক্সবাজারসহ বিভিন্ন জেলার উপকূলের কয়েক লাখ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে জানা যায়।
উখিয়া উপজেলার উপকূলীয় অঞ্চলে বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে ঝুঁকিতে থাকা পরিবারগুলো-কে নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসা হয়েছে। আশ্রয় গ্রহণকারী পরিবারের জন্য উপজেলা প্রশাসন, বেসরকারী সংস্থা সহ সামাজিক সংগঠন গুলো সহযোগিতার জন্য এগিয়ে এসেছে।
ঘূর্ণিঝড়ের কবলে উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের জান-মালের ক্ষতি রোধে নিরলস কাজ করছে উখিয়া উপজেলার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হাসি মুখ ফাউন্ডেশন। হাসি মুখ ফাউন্ডেশন কর্তৃক গঠিত ‘রেসপন্স টিম’ উখিয়া উপজেলা প্রশাসন, সিপিপি ও অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পাশাপাশি ঝুুঁকিতে থাকা পরিবারগুলো নিরাপদে আশ্রয় কেন্দ্রে পৌছে দেয়া, খাদ্য বিতরণ ও প্রয়োজনীয় অন্যান্য সেবা দিয়ে যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা মাহাবুব কাউসার জানান, “আমরা বিগত কয়েকদিন ধরে উপকূলে বসবাসরত সাধারণ মানুষদের ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতির সম্ভাবনা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ বিষয়ক সচেতনতার লক্ষে কাজ করে যাচ্ছি। পাশাপাশি বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে যারা আশ্রয় নিয়েছে তাদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য কাজ চালিয়ে যাচ্ছি”।
রেসপন্স টিমের প্রধান মোহাম্মদ জাহেদ জানান, “উপকূলীয় অঞ্চলে ঝুঁকিতে থাকা সকলের পাশে থেকে দুর্যোগ সংকট কাটিয়ে তুলতে আমাদের আপ্রাণ প্রচেষ্টা থাকবে”। জালিয়া পালং ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য হাফেজ জালাল আহমেদ হাসি মুখ ফাউন্ডেশন এর মানবিক কর্মকাণ্ডের ভূয়সী প্রশংসা করে তাদের মানবিক কাজ চালিয়ে যেতে উৎসাহ প্রদান ও পাশে থাকার অঙ্গীকার করেছেন।