মোঃ সেলিম উদ্দিন (কক্সবাজার)
ঘূর্ণিঝড় মোখা শক্তি বাড়িয়ে সাগর থেকে স্থলভাগের দিকে এগোচ্ছে। ইতিমধ্যে প্রবল ঘূর্নিঝড়টি সেন্টমার্টিন ও মায়ানমার উপকূলে আঘাত হেনেছে বলে জানা গেছে।
কক্সবাজারসহ বিভিন্ন জেলার উপকূলের ঝুঁকিতে থাকা কয়েক লাখ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসা হয়েছে। কক্সবাজার সদর, উখিয়া, টেকনাফ, কুতুবদিয়া উপজেলার উপকূলীয় অঞ্চলে বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় গ্রহণকারী পরিবারের জন্য উপজেলা প্রশাসন, বেসরকারী সংস্থা সহ সামাজিক সংগঠন গুলো এগিয়ে এসেছে।
উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের সংগ্রামের সহযোগী ও বিশ্বস্ত বেসরকারী সংস্থা কোস্ট ফাউন্ডেশন প্রতিবছর নানা দুর্যোগে ও বিপর্যয়ে সহযোগিতায় অগ্রণী ভূমিকা রাখে। তার ধারাবাহিকতায় চলমান ঘূর্ণিঝড় মোখা’র সংকটে উখিয়া উপজেলা প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে উপকূলীয় গ্রাম সোনার পাড়া ও ডেইলপাড়া’র ২ টি আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান করা মানুষদের মাঝে তিন শতাধিক রান্না করা খাবার প্যাকেট ও নিরাপদ পানি বিতরণ করেছে কোস্ট ফাউন্ডেশন।
কোস্ট উখিয়া রিলিফ অপারেশন সেন্টার এর টিম লিডার মোঃ ইউনুছ, শিক্ষা প্রকল্পের ব্যবস্থাপক জসীম উদ্দিন মোল্লা, জালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ আলম, ইউপি সদস্য আবুল কালাম, হাফেজ জালাল আহমদ এর উপস্থিতিতে উক্ত খাদ্য সামগ্রী বিতরণ সম্পন্ন করা হয়। চেয়ারম্যান মহোদয় ইউনিয়নবাসীর পক্ষে কোস্ট ফাউন্ডেশন এর প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
এছাড়াও কোস্ট ফাউন্ডেশন কক্সবাজার সদর উপজেলার সৈকত বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে মোট ৮০০ প্যাকেট, মহিলা কামিল মাদ্রাসায় ২০০ প্যাকেট, বাহারছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২২০ প্যাকেট, কলাতলী উচ্চ বিদ্যালয়ে ৩০ প্যাকেট, এয়ারপোর্ট স্কুলে ৭০ প্যাকেট এবং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৭০ প্যাকেট। কক্সবাজারের মাদ্রাসা তৈয়বিয়া তাহেরিয়া সুন্নিয়া আলিম মাদ্রাসায় ৩০০ প্যাকেট খাবার পানিসহ বিতরণ করা হয়েছে।
টেকনাফ উপজেলার পল্লান পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দায়িত্ব নিয়েছে কোস্ট। কোস্ট এই স্কুলে ৩০০ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করবে। দুর্যোগকালীন সময়ে জরুরী সাঁড়া প্রদান করার লক্ষে গঠিত দল উপকূলীয় অঞ্চলে তৎপরভাবে কাজ করতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন টিম লিডার মোঃ ইউনুছ।