বিশেষ প্রতিনিধি
রামুতে বসত ভিটা দখল করতে না পেরে দিন দুপুরে সন্ত্রাসীরা হামলা করে অন্তঃসত্ত্বা মহিলাসহ দুইজন কে আহত করার অভিযোগ উঠছে । এই সময় ভাঙচুর করা হয় বাড়ি বিটার টেংরা, টয়লেটের পাইপ ও মটরের পানির লাইন । ঘটনাটি ঘটেছে ০১সেপ্টেম্বর সকাল ১২ টার সময় কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের চরপাড়া এলাকায়। এই ঘটনায় এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। বসত ভিটার মালিক মৃত হাজী আক্তার কামালের ছেলে আমির হোছন জানান, আমি আমার ভাইদের সাথে আপোষ মতে পৈতৃক বসতভিটায় ঘর করে দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে বসবাস করতেছি। সম্প্রীতি আমার ভাই আমীর হামজার সাথে আমাদের পারিবারিক বিরোধ হয়। আমার ভাই আমীর হামজা এই সময় আনুয়ার কামাল (বাদল)সহ আরও ১০/১৫ জনকে নিয়ে আমাদের পুরাতন বাড়ির গাছ পলা কেটে ফেলে এবং আমর অপর ভাই ব্রাদার কে মারধর করে। আমাদের পারিবারিক এই বিরোধ কে কেন্দ্র করে আমাদের অজান্তে আমার এলাকার সুবেদার নুর আহাম্মদের ছেলে আনুয়ার কামাল(বাদল) আমার ভাই আমির হামজা কে পৌঁছলিয়ে বিভিন্ন লোভ লালসা দেখিয়ে কাউয়ারখোপ মৌজার বিএস ১২১ নং খতিয়ান থেকে ২৮শে নভেম্বর ২০২২ ইংরেজি ৩৮২৭ নং দলিল মূলে আমার বসত ভিটার থেকে সাড়ে ৭ শতক জায়গা ক্রয় করে। দীর্ঘ ৫ মাস পর আমরা জানতে পারি আমার বসত ভিটার জায়গা গোপনে ক্রয় করেছে। আমার বসত ভিটা রক্ষা করার জন্য আমি রামু বিজ্ঞ সহকারী জজ আদালতে ৯৬ ধারামতে হকসফি মিচ ২৩ মামলা দায়ের করি, মাননীয় আদালত আনুয়ার কামাল (বাদল)সহ তিন জনকে নোটিশ প্রদান করেন। নোটিশ পাওয়ার পর থেকে আনুয়ার কামাল বাদল বিভিন্ন সময় প্রকাশ্য আমাদেরকে হুমকি দিয়ে বলে জায়গা ছাড় না হলে তোমাদেরকে মেরে ফেলব। তারই ধারাবাহিকতায় আনুয়ার কামাল(বাদল) এর নেতৃত্বে তার ছেলে সায়মন সহ ১০/১২ জন মুখোশ পড়া সশস্ত্র সন্ত্রাসী ঘটনার দিন আমার বসত ভিটা দখল করতে আসে। আমি অসুস্থ বাড়িতে শুয়ে আছি। এই সময় আমার স্ত্রী রিজিয়া আক্তার ঘর থেকে বাহির হয়ে তাদের কে বাঁধা প্রদান করলে আমার স্ত্রী কে মাঠিতে ফেলে মারধর করে বাদল ও তার ছেলে সায়মন। পরবর্তীতে আমার স্ত্রী রিজিয়া আক্তার কে উদ্ধার করার জন্য আমার পুত্রবধূ ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা তসলিমা আক্তার (প্রকাশ) পাখি আক্তার আগিয়ে আসলে তাকে ও মারধর করে আহত করে। এই সময় সন্ত্রাসীরা আমার বসতভিটা স্থিত পানির মটরের লাইনের পাইপ,টয়লেটের মল-মূত্র যাওয়ার পাইপ এবং পানির টিউবলসহ টেংরা ভাঙচুর করে। আমি অসুস্থ মানুষ বাড়িতে শুয়ে আছি। তারা আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এলাকাবাসী তাদের আত্মচিৎকারের খবর শুনে ঘটনাস্থলে উদ্ধার করার জন্য আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। অভিযুক্ত বাদলের সাথে বারবার ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও মোবাইল বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
আমির হোছনের ছেলে মোহাম্মদ সোহেল জানান মানুষের জায়গা জমি দখল করা তাদের নেশা ও পেশা হয়ে গেছে, এলাকার বিভিন্ন মানুষের জায়গা জমি একের পর এক দখল করতেছে তারা। তারা এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় মানুষ মুখ খোলার সাহস পায় না। আজ আমাদেরমত অসহায় পরিবারের উপর নির্যাতন। আমি আইনের আশ্রয় নেব । আমরা প্রশাসনের সহযোগিতা চাই। সন্ত্রাসীদেরকে আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবী জানাচ্ছি ।
এলাকার সচেতন ও সুশীল সমাজের লোকজন জানান
বাদল ও তার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রশাসন এখন থেকে ব্যবস্থা না নিলে তারা আরো বেপরোয়া হয়ে যাবে। এলাকায় আইনশৃঙ্খলা অবনতি হবার মতো একের পর এক ঘটনা ঘটাচ্ছে বাদল ও তার বাহিনী।